প্রকাশিত: Sat, Jun 1, 2024 11:36 AM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 3:36 AM

[১]ঝুঁকিপূর্ণ রেস্তোরাঁয় অনিরাপদ রাজধানী [২]বেশিরভাগই চলে রাজনৈতিক প্রভাবে

ইমন হোসেন: [৩] অনুমোদন না থাকলেও রাজধানী জুড়েই আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক ভবনে চলছে রমরমা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। প্রতিটি রেস্টুরেন্টে ঝুঁকিপূর্ণভাবে একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার পাশাপাশি রেখে দিনভর চলে রান্না। (দৈনিক বাংলা ০৪-০৫-২০২৪)

[৪] গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মিরপুর, উত্তরাসহ রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায়ই এ ধরনের হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। বাইরে চাকচিক্য থাকলেও ভেতরে যেনো মৃত্যুফাঁদ। (যুগান্তর ১৩-০৫-২০২৪)

[৫] ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন ও রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় তারা দিব্যি ব্যবসা করছে। ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এসব রেস্তোরাঁ খোলা হলেও বেশিরভাগ মালিকই ফায়ার লাইসেন্স নেননি। কেউবা রেস্টুরেন্ট চালুর আগে ফায়ার লাইসেন্স নিলেও পরে আর নবায়ন করেননি। (যায়যায়দিন ২৪-০৫-২০২৪)  

[৬] ঢাকায় রাজউক এলাকায় ৫ লাখ ১৭ হাজার ভবন রয়েছে। এসব ভবনের মধ্যেই রয়েছে ছোট-বড় ২৫ হাজার রেস্তোরাঁ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব রেস্তোরর ৯০ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। (জনকণ্ঠ ০৯-০৫-২০২৪)

[৭] নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নগরসেবা সংস্থাগুলো নড়েচড়ে বসে। সবাই অভিযান চালায়। কিছুদিন গ্রেপ্তার, সিলগালা, ভবন বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে সোচ্চার থাকে বিভিন্ন সংস্থা।  কিন্তু কিছুদিন পর ব্যবসায়ীদের চাপে চুপসে যায় সবাই। যে কারণে দুর্ঘটনার কিছুদিন পর পুরনো চেহারায় ফিরে আসে সবকিছু। (আলোকিত বাংলাদেশ ০৪-০৫-২০২৪)

[৮] পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা মহানগরীর রেস্তোরাঁগুলোর এক-তৃতীয়াংশ ছাড়পত্র নিয়েছে কিনা সন্দেহ। তবে ছাড়পত্রবিহীন রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা যায় না। (ঢাকা প্রকাশ ০৪-০৫-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব